কে পি সি বেঙ্গলি হল অফ ফেম আয়োজিত বঙ্গ সম্মেলন ২০২৩
জিম হোয়েলান বোর্ডওয়াক হল, আটলান্টিক সিটি, নিউ জার্সি - ৩০ জুন, ১ ও ২ জুলাই ২০২৩
গানবাজনা, সিনেমা, নাটক, খেলাধুলা, শিল্প, সাহিত্য, ব্যবসা, খাওয়াদাওয়া, কেনাকাটা, আদানপ্রদান এবং প্রাণখোলা মেলামেশায় জমজমাট ও বাঙালিয়ানায় ভরপুর এক মিলনোৎসব - ২০২৩ এ আসছে সম্পূর্ণ নতুন সাজে সেজে | আসুন সবাই হাসিখুশি আর আনন্দে রাঙিয়ে দিই এই উৎসবের প্রাঙ্গন । যারা আসতে আগ্রহী তারা তো আসবেনই - সঙ্গে করে বন্ধু বান্ধবদের ও হাত ধরে নিয়ে আসুন ।
North America Bengali Conference organized by KPC Bengali Hall Of Fame, New Jersey on
30 June, 1 & 2 July 2023 at Jim Whelan Boardwalk Hall, Atlantic City, NJ
*2023 NABC – A Veritable Cornucopia of All Things Bengali*
A confluence of music, movies, theater, art, literature, trade, dining and shopping amidst fanfare and revelry - 2023 NABC promises you all this and more. Please join us in making this quintessentially Bengali event a never before, unforgettable experience for you, your friends and family.
এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত নৃত্যনাট্যর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হবে যে বিগত পাঁচ শতকের শাসক ও শাসনের প্রভাব কিভাবে পরিবর্তন এনেছে ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবনে। চলুন দর্শক হিসেবে আমরা সবাই অনুভব করি একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে ইতিহাসের পদচারণা।
গল্পের প্রথম ভাগে প্রথাগত শকুন্তলা-র গল্পের সঙ্গে মিশে রয়েছে বর্তমান সময়ের নিরিখে শকুন্তলা গল্পের মূল্যায়ণ। আপনাদের কি মত? শকুন্তলা সিদ্ধান্তের যুগপরিবর্তন কি সম্ভব? আজকের নারী মর্যাদার নিরিখে দেখতে যাই চলুন এই নব্য নির্মিত শকুন্তলা-কে।
ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ভারতরত্ন Dr A P J Abdul Kalam এর জীবন জীবন এবং তাঁর রচিত বই ‘উইংগস অব ফায়ার’ অবলম্বনে এক নৃত্যনাট্য দেখতে চলেছি আমরা এবছরের বঙ্গসম্মেলনে। চলুন সবাই মিলে দর্শকের আসন থেকে উৎযাপন করি এই মহাজীবন। এবারের অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ‘নবরত্ন সভা’। সেখানে দেখা যাবে, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক একটি টক শো, যাঁরা আক্ষরিক অর্থেই ‘রত্ন’- আমাদের বাঙালী প্রজন্ম হিসেবে গৌরবময় ঐতিহ্যের সম্মানীয় ব্যক্তিত্বরা হলেন জগদীশ চন্দ্র বোস, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ, প্রশান্ত চন্দ্র মহালনবিশ, রবিশঙ্কর এবং বিরজু মহারাজ। নাটক, আলোচনা সভা ও সাঙ্গিতিক নৃত্যনাট্য-সংস্কৃতির এই ত্রিধারা সূত্রে নিবেদিত হবেন এই মহাজ্ঞানী মহাজনেরা। চলুন আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে, আমরাও পৌঁছে যাই এবছরের বঙ্গ সম্মেলনে।
ছোটবেলায় পড়া রুশদেশের রূপকথায় থাকত জাদুকরী ভাসিলিসা। মরালীর মাংসে এক কামড় দিয়ে লুকিয়ে রাখত শার্টের ডান হাতায়, সুগন্ধি ওয়াইনে এক চুমুক দিয়ে বাকিটা ঢেলে নিত শার্টের বাঁ হাতায়। তারপর? খাওয়াদাওয়ার শেষে বলনাচের আসরে ভাসিলিসা বাঁ হাত দোলায়, তৈরী হয় সরোবর, সুগন্ধি তার জল। ডান হাত দোলায়, সরোবরের জলে ভেসে বেড়ায় শ্বেতমরালীর দল। বাঁ হাত দোলায়, সরোবরের জলে ভেসে বেড়ায় শ্বেতমরালীর দল। সবারই বুকের ভেতর বোধহয় এক জাদুকরী ভাসিলিসা লুকিয়ে থাকে, জাদুদন্ডটি হাতে নিয়ে সে কোন অন্য এক মায়াজগতে টেনে নিয়ে যায়।
জাদুকর হবার স্বপ্ন দেখেছিল এক পরিবারের মানুষ, বংশপরম্পরায়। পূর্বপুরুষের থেকে পাওয়া
সেই মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়েছিল এক শৈশব, বুকের মধ্যে সযত্নে লালন করেছিল একটুকরো স্বপ্ন, জাদুকর হতে চায় সে। ইচ্ছেডানায় ভর করে আর জাদুদণ্ড ঘুরিয়ে চেনা পৃথিবীটা উল্টেপাল্টে দেবে। কিন্তু পথটা যে সহজ নয়! পরিবারে অভাব, জাদুবিদ্যার সন্ধানে ঘুরে সংসারের চাহিদা মেটানো যায়নি, মা তাই পক্ষীমাতার মত আড়াল করতে চান ছেলেকে। আকাশকুসুম স্বপ্নের জাল বোনায় তাঁর প্রবল আপত্তি। ছেলে শোনে না। শিকড়েই যে তার ইন্দ্রজালের টান। সঠিক গুরুর সন্ধানে ঘোরে। প্রকৃতিপ্রেমী ছেলেটার সঙ্গে থাকে প্রকৃতিরই শক্তি। পথ দেখায়, সাহায্য করে। শুভবুদ্ধি আর শুভচেতনা, এই তার সম্বল।
তারপর? ফ্যান্টাসির রাজ্যে সে এক লম্বা পথ পাড়ি। চলতে চলতে চেনা পৃথিবীটা উল্টেপাল্টে যেন এক মায়াপৃথিবী হয়ে যায়, বাস্তব আর অবাস্তবের সীমানা সরু সুতোয় ঝোলে। এই মুহূর্তে যা দিনের আলোর মত উজ্জ্বল, পরমুহূর্তে সেটাই রহস্যের ধোঁয়াশায় ধূসর। সংগীত আর অভিনয়ের নৌকায় চড়িয়ে সেই বাস্তব আর পরাবাস্তবের সমুদ্রে ভাসাবে বঙ্গসম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ - মেগা ইভেন্ট গীতিআলেখ্য মায়াজাল। বঙ্গসম্মেলনের মঞ্চে, জুলাই মাসে, অতলান্তিক মহাসাগরের তীরে আটলান্টিক সিটিতে।
আরতি শব্দের অর্থ হলো স্তবসঙ্গীত, যার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগ আর ভালোবাসা উভয়কে প্রকাশ করা হয়। এবং যা ফলসরূপ যে আলোর মাধ্যমে আরতি প্রকাশ পায়, তা আমাদের সবার পথ কে আলোকিত করে তোলে। অতএব আপনাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাই NABC ২০২৩, এই আনন্দ আরতি তে মেতে উঠবে 30th June শুভ্র সকালে, Atlantic City তে। এই অভূতপূর্ব সমুদ্র আরতির আলোর ভেলায় আসুন, আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি এই ২০২৩ এর আনন্দ আরতিতে । - Register @ nabc2023.net
যাত্রা আমাদের খোলা মাঠ ও উদাত্ত কন্ঠশিল্পের এক অনন্য সাংস্কৃতিক গৌরব। যে পরম্পরা শহুরে নাগরিক জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। বঙ্গসম্মেলনের উদ্যোগে এই প্রথমবার আমরা দেখতে পাব একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক নাটক চন্দ্রগুপ্ত’ অবলম্বনে শিল্পের এই অনন্য ফর্ম ‘যাত্রা’। মৌর্য বংশীয় এক বীর রাজাকে ঘিরে কৌটিল্যর মত চরিত্র সহ ঘটনার অনেক ঘনঘটা। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচনা, অশোক মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত এবং দুলাল লাহিড়ী পরিচালিত এই অনন্য পরিবেশনার জন্য অপেক্ষা করছি ।
“ফুটবল থেকে দৌড়-হাঁটা সব আউটডোর
ক্যারামবোর্ড, টেবিলটেনিস, কার্ড সব নিয়ে, ইনডোর।
খেলা আর খেলার মেলা। বঙ্গসম্মেলন ২০২৩-এর নজর এবার খেলার দিকেও।
এই নতুন পালক স্বাস্থ্যসচেতন তো বটেই,
বাঙালীর বন্ধন ও বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় করবে বলেই বঙ্গসম্মেলনের এবারের এই মহাউদ্যোগ প্রথমবারের মত। বন্ধুরা আপনারা কী ভাবছেন এই নতুন অভিযান নিয়ে? জানান আমাদের। জানাতে ভুলবেন না, আপনাদের প্রিয় খেলাটির নামও। চলুন সবাই মিলে সার্থক করে তুলি আমাদের এই সদ্যজাত খেলা বিভাগটি-কে।
প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার টর্চ সেরিমনির পরম্পরা রক্ষা করে শান্তি ও সৌহার্দ্যের প্রতীক হিসেবে টর্চ রিলের শেষে এক ব্যাপক আলোকোজ্জ্বল বহ্নিশিখায় হয়, অলিম্পিক খেলার শুরু। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে স্মরণ করে, এবারে বঙ্গসম্মেলন উৎসবেও জ্বলবে এই অগ্নিমশাল। প্রতীক হিসেবে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৭৫ জন আলোকবাহী ২৮-শে জুন বুধবার যাত্রা শুরু করে শুক্রবার ৩০-শে জুন আটলান্টিক সিটি-র বেডার্স ফিল্ডে মধ্যাহ্নে মিলিত হবেন তাঁরা। আমন্ত্রণপর্ব শেষে, বোর্ড ওয়াকে জমায়েতের সবাইকে নিয়ে প্যারেডের যাত্রা হবে শুরু। জাতিগত বিশেষত্বকে তুলে ধরতে বোর্ডওয়াকের ওপর, পদযাত্রার শেষ এক মাইলে সঙ্গীত, প্রপস এবং সাবেকী ভারতীয় পোশাক সমেত এক বর্ণময় প্যারেডে সামিল হবেন ৭৫ জন আলোকবাহী ছাড়াও অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী ও অগুন্তি মানুষ। এই উৎযাপন শেষে দুটি টর্চ মুখ্য অডিটোরিয়ামে জ্বলবে অনুষ্ঠানের শেষ দিন অবধি। সবার মনে এই অটুট বন্ধনের আলো ছড়িয়ে দিতে আসুন সবাই মিলে পা মেলাই এই আলোক মিছিলে।
এবারের বঙ্গসম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ ফ্যাশন ও সাজপোষাককে ঘিরে তিনটি আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা। মহিলাদের জন্য ‘বঙ্গসুন্দরী’, পুরুষদের জন্য ‘বঙ্গশ্রী’ এবং মধ্যবয়সী পুরুষদের জন্য ‘বাঙালী বাবু’- শীর্ষক এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের সাজপোষাক ও ব্যক্তিত্ব প্রদর্শনের জন্য থাকবে এক প্ল্যাটফরম। থাকবে অনন্য পরিবেশনার সূত্রে অনন্যতার স্বাক্ষর রাখার এক অবাধ সুযোগ। আসুন বন্ধুরা সাজগোজ ও ফ্যাশনের মধ্যে ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়ে সবাই আমরা সামিল হয়ে সফল করি, বঙ্গসম্মেলন ২০২৩-এর এই মহাউদ্যোগকে। অপেক্ষা করুন বন্ধুরা। যোগদান করার সমস্ত খবর আসছে খুব শিগ্গিরই।
বাসনার সেরা বাস রসনায়। বাঙালীর খাদ্যরসিকতা আজ হয়ে উঠেছে এক শিল্প ও বঙ্গসংস্কৃতির এক অনন্য অঙ্গ। তাই এবছরে বঙ্গসম্মেলন আয়োজন করেছে বাঙালীর বিবিধ বর্ণাঢ্য খাবারের কথা ভেবে ‘খাদ্যশ্রী’। বিভিন্ন শেফ আয়োজন করবেন ১৫-থেকে ২০-টি ডিশ, যা চেখে দেখবেন অংশগ্রহণকারীরা সহ ফুডটেস্টার-রা। শুধু তাই নয়, খেয়ে বলতে হবে খাবারটির নামও। এমনি খাওয়ার সাথে মজা মিশিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। সুযোগ রয়েছে দারুণ সব পুরষ্কার জেতার।
তাই নিজেদের স্বাদ ও গন্ধের প্রস্তুতি নিয়ে চলে আসুন বন্ধুরা ২০২৩-এর বঙ্গসম্মেলনে। জিতে নিন খাদ্যশ্রী খেতাব।
আমরা সবাই জানি যে সঙ্গত ছাড়া সঙ্গীত হয় না। সুরের বাঁধুনি, তালের ছন্দ সবকিছুর সম্মিলিত মাধুর্যে মিউজিশিয়ানদের কোন বিকল্প নেই। এই সব মিলিয়েই তাঁদের হাতে সার্থক হয়ে ওঠে একেকটি অনন্য অনুষ্ঠান। পটভূমিকায় থেকেও যাঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, গুরুত্ব অপরিসীম- তেমনই কিছু স্বনামখ্যাত মিউজিশিয়ান আসছেন এবছরের বঙ্গসম্মেলনে। সুর ও তালবাদ্যের কিছু শিল্পীর নাম আমরা ঘোষণা করব সত্বরই। বন্ধুরা সঙ্গে থাকুন।
ছোট্ট ছেলেটা বড্ড অসুখে ভোগে, যার জন্যে হেয়ার স্কুলের পড়া ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসতে হল। তবে তা নিয়ে ছেলেটার খুব একটা দুঃখ নেই, বাড়িতেই যে রয়েছে বাবার তৈরী বিরাট লাইব্রেরি! একবার ঢুকে পড়লেই বইয়ের জগতে হারিয়ে যাওয়া। সময়ের জ্ঞান থাকে না, একমনে পড়েই চলে, নানা বিষয়, নানা রকমের বই। তৈরী হয় ভিত, এক অসামান্য জীবনের ভিত।
বড় হয়ে সে রস খুঁজে পাবে রসায়নশাস্ত্রে, ধ্যানজ্ঞান হবে রসায়ন। কলকাতায় স্কুল কলেজের গন্ডী টপকে গিলক্রিস্ট স্কলারশিপ নিয়ে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে রসায়নের সর্বোচ্চ ডিগ্রি, গবেষণাপত্রের জন্যে 'হোপ প্রাইজ', একের পর এক সাফল্যের চূড়ায় উঠবে সে।
দেশে ফিরে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ানো, রসায়নশাস্ত্রের প্রচার ও প্রসার, একের পর এক গবেষণা ও আবিষ্কার, তুমুল ব্যস্ততার মাঝেও তার মনে স্থির হয়ে জ্বলে এক আলোকবর্তিকা - দেশপ্রেম। সেই জাতীয়তাবোধ থেকেই জন্ম নিল শিল্পে স্বনির্ভর হওয়ার আকাঙ্খা। তৈরী হল ঐতিহাসিক 'বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কস', মাত্র সাতশো টাকা মূলধন সম্বল করে। আর আছে অসামান্য উদ্ভাবনশক্তি। অচিরেই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল বেঙ্গল কেমিক্যালের নিজস্ব ফর্মুলায় তৈরী ফিনাইল, ন্যাপথালিন বল, জোয়ানের আরক 'অ্যাকোয়া টাইকোটিস', সুগন্ধী চুলের তেল 'ক্যান্থারাইডিন'।
রসায়নের রসে জারিত সেই অনন্য দেশপ্রেমের চিহ্ন রেখে যাওয়া মানুষটি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভারতে রসায়নশাস্ত্রের জনক, প্রথম জাতীয়তাবাদী শিল্পোদ্যোগী। এমন মানুষকে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং নাটকীয় মঞ্চ উপস্থাপনার মাধ্যমে স্মরণ করে ধন্য হবে বঙ্গসম্মেলন।
ময়মনসিংহের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ভগবানচন্দ্র বসু ছিলেন জাতীয়তাবাদী, নিজেই তৈরী করেছিলেন বাংলা জিলা বিদ্যালয়। সেখানেই পড়তে পাঠান তাঁর ছোট্ট ছেলে জগদীশকে। শৈশবের মনের কাদামাটিতে সেই যে দেশপ্রেমের বীজ বপন হল, তার চারাগাছটি একসময় মহীরূহ হবে। মেধাবী জগদীশ কেমব্রিজ ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করে প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দিলেন। বিনা মাইনেতে। ওটাই যে তাঁর প্রতিবাদ। অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ইংরেজ অধ্যাপকের বেতনের অর্ধেক বেতন দেওয়া হবে তাঁকে, কেন নেবেন তিনি? চাই না বেতন। বিনা পারিশ্রমিকেই বিদ্যাদান করবেন বরং। তিনবছর এমন চলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে সমান বেতন দিলেন।
দরিদ্র, মেধাবী ছেলেটির জেদ আর চরিত্রের দৃঢ়তায় মুগ্ধ আরও একটি তেজস্বিনী, অবলা বসু। বিয়ে হল দুজনের। অবলাকে পাশে নিয়ে শুরু হল এক স্বপ্নের উড়ান, অবলাই জগদীশের শক্তির উৎস। ছোট্ট একটি গবেষণাগার, ন্যূনতম উপকরণ, সেখানেই চলে উদ্ভাবন। একের পর এক। অতিক্ষুদ্র মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের তরঙ্গের জন্ম এখানেই। এই তরঙ্গের ব্যবহার পৃথিবীতে পরে বিপ্লব আনবে, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট, স্মার্টফোন বা ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির মাধ্যমে। তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ, যা রেডিও সম্প্রচারের গোড়ার কথা, তারও অস্তিত্বের প্রথম প্রমাণের সাক্ষী এই গবেষণাগার। একের পর এক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনে ব্যস্ত জগদীশ, পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানচর্চা (এক্সপেরিমেন্টাল সায়েন্স) ছড়িয়ে দিতে চান। বাংলায় বিজ্ঞানের বই লিখলেন, ছেলেবেলার বাংলা জিলা স্কুলের শিকড়ের টানে। প্রকৃতির পাঠ সেখানেই যে শুরু, সেই প্রকৃতির কাছাকাছিই রইলেন আজীবন। গাছের প্রাণ আর জীবনচক্র প্রমাণ করে বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন। বায়োফিজিক্সের কথা সেই প্রথম জানল মানুষ।
তিনি বিজ্ঞানী ও শতাধিক আবিষ্কারের উদ্ভাবক আচার্য স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথের প্রিয়বন্ধু, ভগিনী নিবেদিতা যাঁর গুণমুগ্ধ। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বজ্র চিহ্নটি তাঁর উপযুক্ত দ্যোতক। বঙ্গসম্মেলন তাঁকে মাল্টিমিডিয়া এবং নাটকীয় মঞ্চ উপস্থাপনার মাধ্যমে সম্মান জানিয়ে ধন্য হবে।
এবারের বঙ্গ সম্মেলনের এক অনন্য আকর্ষণ ‘এন.এ.বি.সি. কয়্যার। সেখানে থাকবে একশজন ছাত্রছাত্রীর কন্ঠে সমস্বরে চারটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত শোনার এক অনন্য সুযোগ। ৪৩তম বঙ্গসম্মেলনের এক অনন্য উদ্যোগ পরবর্তী প্রজন্মকে এই মহাসম্মেলনের উদ্যোগে সামিল করে নেয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবাইকে উৎসাহ দিতে সবার উপস্থিত থাকা চাই-ই চাই।
বাঙালীর আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও গর্ব তাঁর দুর্গাপুজোকে নিয়ে। আর দুর্গাপুজোকে ভরিয়ে রেখেছে বাঙালী কত মিষ্টি কৃষ্টি দিয়ে। ধুনুচি পুজোর অঙ্গ। ধুনুচির ধোঁয়া মাথায় ছুঁইয়ে নেয়া পুজোর পবিত্র আচারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু একে জুড়ে দিল বাঙালী নাচের মত সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে। শুধু সেই নয়, আগামীর দিকে মুখ চাওয়া প্রত্যয়ের সঙ্গে। সমবেত আনন্দের মধ্যমণি এভাবেই হয়ে ওঠে আমাদের অর্থাৎ বাঙালীর ধুনুচি নাচ। ধুনুচি নাচ পর্বের বিশেষ আকর্ষণ ময়ূরভঞ্জ ছৌ নৃত্যশিল্পীদের নাচ. এবারের বঙ্গসম্মেলনে আমরা এই ধুনুচি নাচ প্রতিযোগিতার আয়োজনে চলুন সবাই মিলে যোগ দিই আর জিতে নি প্রতিযোগিতার সব আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত, দোলযাত্রা একটি জনপ্রিয় উৎসব। বৃন্দাবনে এই দিনই শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। নানা জাতি নানা মতের লোকেরা এই রঙের উৎসবের শরিক হন। এটির উদ্ভব ভারতীয় উপমহাদেশে হলেও দক্ষিণ এশিয়ার এবং পশ্চিমা বিশ্বের কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই উৎসবের আরেকটি নাম বসন্ত উৎসব। দোলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাধা কৃষ্ণের অমর প্রেম কাহিনি।আপার কোথাও অশুভকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয়, এই সবের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে দোল বা হোলির রঙ।
দোলের দিন আমরা দেখি কীর্তনগানের সঙ্গে অনেক শোভাযাত্রা।এই তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
এই দিনেই শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের আগেরদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয় যা হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।ভুলবেন না কিন্তু, এবারের বঙ্গসম্মেলনে আমরা বসন্তউৎসব পালন করতে চলেছি। চলুন সবাই মিলে উৎসবের পোশাক নিয়ে হাজির হই ২০২৩-শের বঙ্গসম্মেলনে।
1. উত্তর আমেরিকা আজ গর্বিত যে এখানে বসে শিল্পী যোগেন চৌধুরী-র আঁকা ছবি আটলান্টিক সিটিতে বসে দেখার সুযোগ পাবেন প্রবাসীরা। শিল্পী যোগেন চৌধুরী তাঁর ছবি নিয়ে আসছেন চিত্র প্রদর্শনীতে। এটি একটি প্রাপ্তি আমাদের জন্য। এই সুবর্ণ সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে আর বিলম্ব না করে, বন্ধুরা, এক্ষুণি রেজিস্টার করুন ২০২৩-এর বঙ্গসম্মেলনে।
2. এবছরের বঙ্গসম্মেলনে আসছেন স্বনামখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। এক অনন্য সুযোগ প্রবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে তাঁর সঙ্গে দেখা করার, কথা বলার ও তাঁকে শোনার। তাই বন্ধুরা, আর দেরী নয়। চলুন সবাই মিলে রেজিস্ট্রেশন করি এক্ষুণি ২০২৩ -এর বঙ্গসম্মেলনের জন্য।
3. এবছরের বঙ্গসম্মেলনে আসছেন সর্বজনবিদিত সাহিত্যিক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।তাঁর রচনা, কলকাতা বইমেলা, প্রকাশনী -সব নিয়ে জানার সুযোগ অপেক্ষা করছে অবাধ ও অগাধ। তাই বন্ধুরা, আর দেরী নয়। চলুন সবাই মিলে রেজিস্ট্রেশন করি এক্ষুণি ২০২৩ -এর বঙ্গসম্মেলনের জন্য।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী একজন প্রথিতযশা হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় গায়ক, সুরকার, গীতিকার ও সংগীতগুরু। তাঁর কন্ঠের যাদুবলে তিনি সম্মোহিত করে থাকেন সকল উপস্থিত শ্রোতাকে। আমাদের এক অনন্য অনুষ্ঠানের সাক্ষী হবার সুযোগ দিচ্ছে ২০২৩-শের বঙ্গসম্মেলন। চলুন আর দেরী না করে এক্ষুণি রেজিষ্ট্রেশন করি বঙ্গসম্মেলনের জন্য।
বাংলার বিশিষ্ট যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার একজন খ্যাতিমান সরোদবাদক। ১৯৮১ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিও সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হন তিনি। এছাড়া তিনি প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক ও পণ্ডিত ডিভি পালুসকার পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর বাজানো সুরের ঝংকারে তিনি দর্শক মনে মায়াজাল বিস্তারে সিদ্ধহস্ত। এই সুবর্ণ সুযোগ ছাড়ব কেন আমরা বন্ধু? চলুন আজই রেজিস্ট্রেশন করি ২০২৩-এর বঙ্গসম্মেলনে।
The Mangal Shobhajatra festival symbolizes the pride in us, our heritage, our strength and courage to fight against sinister forces, and their vindication of truth and justice.
It also represents solidarity and a shared value for democracy, uniting people irrespective of caste, creed, religion, gender or age. Be a part of this mass procession - Mangal Shobhajatra, that will take place for the first time in NABC history!
It will be displayed in 9 numbers of separate exhibition booths of 4x5 ft. All old incidents will be displayed in 3D models along with background drawings screen. It starts from 1878 when the first football kick off done by Mr Nagendra Prasad Sarbadhakari, incidentally, at his childhood day, as per the available info. He is the father of football of India. Then it started spreading the initiative of Nagendra Babu & others. 1911 IFA Shield won by Mohon Bagan against British team. Spirit of freedom fighting enhanced. Chines wall Gosto Pal era. India played in football olympic, Indian players played the game bear footed. Shailen Manna, then PK- Chuni -Balaram. Changes of culture, and socio economic condition. Starting of radio commentry in bengali. Mohon Bagan vs Cosmos. Foot ball king Pele at Kolkata in exhibition match in 1977. Next football craze every where. Mohon Bagan vs East Bengal "Boro Match". illish vs Chingri. 1970-80 all will be exhibited through sample symbolic modles.
Table top display of 3D models of important heritage buildings of Kolkata, as if you are traveling from north to south Kolkata starting from Dekshineswar Kalibari, touching all the important visiting place like Howrah Station, Howrah Bridge writer's building, fort William, Victoria memorial etc. finally at Kalighat in South Kolkata.